สล็อต หวยออนไลน์
สล็อต หวยออนไลน์
খুলনা আর্ট একাডেমির ঐতিহ্য সংরক্ষণশালায় ‘জল নেতি’ উপহার দিলেন আহমেদ হোসাইন ছানু - ajkeralo খুলনা আর্ট একাডেমির ঐতিহ্য সংরক্ষণশালায় ‘জল নেতি’ উপহার দিলেন আহমেদ হোসাইন ছানু - ajkeralo

খুলনা আর্ট একাডেমির ঐতিহ্য সংরক্ষণশালায় ‘জল নেতি’ উপহার দিলেন আহমেদ হোসাইন ছানু


admin প্রকাশের সময় : ১৪/০৮/২০২৫, ১:০৮ অপরাহ্ন /
খুলনা আর্ট একাডেমির ঐতিহ্য সংরক্ষণশালায় ‘জল নেতি’ উপহার দিলেন আহমেদ হোসাইন ছানু

আয়শা সিদ্দিকা সাথী, খুলনা থেকে:

খুলনা আর্ট একাডেমির ঐতিহ্য সংরক্ষণশালায় আজ ১৪ই আগষ্ট ঐতিহ্যবাহী ‘জল নেতি’ উপহার দিয়েছেন আলো মিডিয়া গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, সাংবাদিক ও সংগঠক আহমেদ হোসাইন ছানু। দীর্ঘ দুই যুগের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত জনাব আহমেদ হোসাইন ছানু মূলত সিলেটের সন্তান হলেও পেশাগত কর্মকাণ্ডে ঢাকা কেন্দ্রিক।খুলনা আর্ট একাডেমি একটি স্বনামধন্য সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, যেখানে ছবি আঁকা, সংগীত, আবৃত্তি, হাতের লেখা ও চারুকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সহায়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ২০০৩ সাল থেকে এই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস। শুধু পেশাগত প্রশিক্ষণ নয়, শিশুদের মানুষ গঠন, আচরণ ও সৃজনশীলতায় অনুপ্রেরণা জোগাতেও তিনি সমানভাবে নিবেদিত। পাশাপাশি তিনি সাহিত্যচর্চা করে সমাজের মানবিকতা ও অসঙ্গতিগুলো লেখনির মাধ্যমে তুলে ধরছেন।সম্প্রতি চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস তার প্রতিষ্ঠিত আর্ট একাডেমিতে একটি জাদুঘর গড়ে তুলেছেন, যেখানে সংরক্ষিত হচ্ছে দেশের হারিয়ে যাওয়া নানান ঐতিহ্য। এর মধ্যে রয়েছে কৃষকের ব্যবহৃত টুপরি, ঘরামি কাজে ব্যবহৃত কাঠ ছিদ্র করার কূণ, গ্রামীণ প্রদীপ রাখার দেউরীসহ প্রায় ১৫০ধরনের প্রাচীন সামগ্রী।ঐতিহ্য সংরক্ষণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে মিলন বিশ্বাস বলেন, “আমি একজন চিত্রশিল্পী। আমি যদি শুধু অন্যদের মতো চলি, তবে আমার সাধনার বিশেষত্ব থাকবে না। নিত্যনতুন সৃষ্টি করে সমাজকে কিছু উপহার দেওয়াই আমার ধর্ম। আমি বিশ্বাস করি শরীরের ঘাম কখনো বেইমানি করে না।”তিনি জানান, ২০২৫ সালের ৭ই মে যমুনা টিভি তার জীবন ও কর্মকাণ্ড নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি তৈরি করেছে, যা তার কাছে বড় প্রাপ্তি। এজন্য তিনি যমুনা টিভির খুলনা বুরো প্রধান প্রবীর বিশ্বাসসহ পুরো যমুনা টিভি পরিবারকে কৃতজ্ঞতা জানান।নিজের শৈশব স্মৃতির প্রতি গভীর অনুরাগ থেকেই তিনি ঐতিহ্য সংরক্ষণকে গুরুত্ব দেন। মিলন বিশ্বাসের ভাষায়, “আমরা শৈশবে যা দেখেছি, তা আজ অনেকটাই হারিয়ে যাচ্ছে। তাই আমি চেষ্টা করি ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে লালন করে শিল্পচর্চা চালিয়ে যেতে।”‘ জল নেতি’ যার সাইজ হাইট সাড়ে তিন ইঞ্চি তার মানে বুঝতেই পারছেন এটি কতোটা আনকমান। এটি জাদুঘরে উপহার দিয়ে আহমেদ হোসাইন ছানু বলেন, “আমাদের নবীন প্রজন্ম এ ধরনের জিনিস দেখে আনন্দ উপভোগ করবে এবং শিখবে।”

খুলনা আর্ট একাডেমির এই উদ্যোগ প্রশংসিত হয়েছে স্থানীয় সাংস্কৃতিক মহলে।